পরবর্তীতে গত ১ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিমের বাবা-মা ভিকটিমের খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এ সময় আসামী সাওয়াল করিম অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন আসামীর সহযোগিতায় ভিকটিমের বাড়ি হতে ভিকটিমকে অপহরণের উদ্দেশ্যে গমন করে। এসময় ভিকটিমের চিৎকারে তার ভাবী ও এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা দ্রুত ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বাব-মা বাড়িতে এসে বিস্তারিত জানার পর আসামী সাওয়াল করিমের বাবা-মার কাছে নালিশ দিলে তারা কোন সঠিক জবাব না দিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভিকটিমের বাবা-মাকে তাড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ১৪/২৫৭ তারিখ ০৭ জুন ২০২৩ ইং ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতনম দমন আইন (সংশোধিত-২০০৩) এর ৭/৩০।
র্যাব-৭, আরও জানায়, চট্টগ্রাম অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণ চক্রের মূলহোতা আসামী ১। সাওয়াল করিম(২২), পিতা-বশির আহমেদ এবং ২। বশির আহমেদ, পিতা- মৃত নূর আহমেদ, উভয় সাং-পশ্চিমপাড়া, থানা-চকোরিয়া, জেলা-কক্সবাজারদের গ্রেফতার এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে অপহরণ করেছিল।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে আসামী সাওয়াল করিমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন ২০০৩), ধারা: ৭/৩০ মোতাবেক মোট ৩টি মামলা পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী সাওয়াল করিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে গত ২০১৮ সালের শুরুর দিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী একটি নাবালিকা মেয়েকে এবং একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় আরেকজন নাবালিকা মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করছিল। সর্বশেষ গত ১ জুন সে তৃতীয়বারের মতো উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।